KFKYyz6raTvQzYGUmUFGOSiYxbY রহস্য: মার্চ 2013

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

স্টোনহেঞ্জ

স্টোনহেঞ্জ সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্বের অব্যাখ্যাত এক রহস্য । এটা অবশ্যই কোন ধাপ্পাবাজি নয় (অধিক 5,000 বছর বয়সী আনুমানিক) এবং এটি সম্ভবত ব্রিটেনের  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে অন্যতম ।পাহাড় এবং গ্রামাঞ্চলের মাধ্যমে মাইল মাইল ড্রাইভিং করবেনএবং হঠাৎ করেই এই উদ্ভট গঠন নজরে পরবে । একটি স্টোনহেঞ্জ!এবং এটি বছর হাজার হাজার বছর ধরে আছে চুপটি !

স্টোনহেঞ্জ একটি প্রাগৈতিহাসিক গঠন ।সালসিবারির উত্তরে ইংরেজি কাউনটি ওয়াইলটসেয়ারে অবস্থিত।
স্টোনহেঞ্জ এর সবচাইতে বড় রহস্য যে এটি কিভাবে বানানো হল।অনেকগুলো তত্ত আছে এই সম্পর্কে।






কেউ বলেন যে পাথর গুলো পানি প্রবাহের ফলে এসেছে।কিন্তু সঠিক যুক্তি আর তথ্য দিয়ে এটি কেউ প্রমান করতে পারেননি।

আবার কেউ বলেন পাথরগুলো বড় বড় হিমবাহের মধ্যে ছিল।হিমবাহ গুলো পানি দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসেছে এবং একসময় হিমবাহ গলে গিয়ে এই পাথরগুলো এখানে আটকে গিয়েছে।

স্টোনহেঞ্জ  এ ব্যবহার করা সবচাইতে বড় পাথর সারসিন।এটা স্টোনহেঞ্জ  এর ২০ মাইল দূর থেকে আনা হয়েছে।আবার খটকা!কোন সুযোগ সুবিধা ছাড়া গ্রামাঞ্চলের ভেতর দিয়ে এই পাথর কিভাবে আনা হল?কেউ কেউ বলেন পাথর গুলো নাকি গাছের গুড়ি দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে আনা হয়েছে!

কিন্তু স্টোনহেঞ্জ এর পাশে গিয়ে দাঁড়ালেই বোঝা যায় ব্যাপারটা কতটুকু অসম্ভব।আজকের যুগে এত প্রযুক্তি নিয়েও যে কাজ করতে মানুষ দশবার চিন্তা করবে সেই কাজটা সেই যুগের মানুষ কেন করল?
কি চিন্তা ছিল তাদের মনে?





স্টোনহেঞ্জ এর পাথরগুলোকে যোগ করা হয়েছে অনেকটা পরিশ্রম করে।জয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে যাতে একটা পাথর আরেকটা পাথরের খাপে খাপে বসে।অনেক লোক লেগেছিল এইরকম করার জন্য।আর একটু চিন্তা করুন কোন প্রযুক্তি ছাড়া কত কষ্ট করে এই কাজ করা হয়েছে।
তাছাড়া কি ভাবে এই পাথরগুলো কে খাড়া করা হল?এই প্রশ্নের জবাবে গবেষকরা বলেন,গাছের গুড়ির দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে পাথরগুলকে আগেই খনন করে রাখা গর্তে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

স্টোনহেঞ্জ কি কাজে ব্যবহার করা হত?

 স্টোনহেঞ্জ এর ব্যবহার নিয়ে অনেক তত্ত আছে।তবে এটা ঠিক যে স্টোনহেঞ্জ মৃত্যু সম্পর্কিত ব্যাপার
নিয়ে ব্যাবহার করা হত।এর চারপাশের এলাকা এবং এলাকাটিতে থাকা চারপাশের কবরের মত উঁচু ঢিপি এটিই প্রমান করে।এছাড়া এটি খুবই পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হত।কারন লোকালয় স্টোনহেঞ্জ 
থেকে অনেক দূরে ছিল।






আচার অনুষ্ঠানের জন্য  স্টোনহেঞ্জ  পর্যন্ত থাকা রাস্তা টি এটিই প্রমান করে যে  স্টোনহেঞ্জ  এর মধ্যকার জায়গাটি শাস্ত্রীয় আচারপালন এর জন্য ব্যবহার করা হত।

বর্তমানকালে প্রত্নতত্তবিদরা বলেন স্টোনহেঞ্জ দিন বা সময় দেখার জন্য ব্যবহার করা হত।তাদের মতে,
প্রকৃতপক্ষে  স্স্টোনহেঞ্জ থেকে একটু দূরে উডহেঞ্জ এ উৎসব হত।আর এরপর শেষ আচার হত স্টোনহেঞ্জ  এ।

এছাড়া এটাও সন্দেহ অতীত যে, স্টোনহেঞ্জ  এর সঙ্গে জ্যোতিষবিদ্যার সম্পর্ক আছে।কেউ কেউ বলেন পুরোহিতরা ফস্ল আসার সময়,বর্ষার সময় বলতে এই জায়গা ব্যবহার করতেন।
সর্বজন স্বীকৃত মতামত হচ্ছে যে আচার অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময় জানার জন্য স্টোনহেঞ্জ ব্যাবহার করা হত।ধারণা করা হয় স্টোনহেঞ্জ কে তীর্থক্ষেত্র হিসাবেও!


মহান প্রাচীন মানুষের অব্যাখ্যাত এক রহস্য, স্টোনহেঞ্জর মানে এখনও আজ পরিষ্কার না ।একটি মন্দির, একটি সমাধিস্থল, একটি মানমন্দির নাকি একটি প্রাচীন ক্যালেন্ডার? 

একটি টাইম মেশিন ছাড়া আমরা কখনই জানতে পারব না ।

রহস্যময় পৃথিবী

অ্যাটলান্টিস রহস্য

অ্যাটলান্টিস বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এক রহস্য । রহস্যপ্রিয় মানুষের মধ্যে এটি এক অদ্ভুত অনুভুতির সৃষ্টি করে । কেউ বলেন এটি মহাদেশ, কেউ আবার সভ্যতার প্রথম উদাহরণ আবার কেউ একে একটি স্বর্গ ও বলেন । এর ধ্বংসের কারন হিসেবে ধারনা করা হয় ওই সময়ের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ কে । এখন এটি সমুদ্রের গভীরে । দেখা যায় শুধু তার পর্বতমালার সারাংশ ।
এই নামটি এসেছে ''এটলাস '' থেকে । এটলাস একজন গ্রীক দেবতা যিনি আকাশ এর ভার বহন করেন । অ্যাটলান্টিস নামের অর্থ এটলাস এর কন্যা ।


অ্যাটলান্টিস রহস্যের কথা প্রথম ধরা পরে প্লেটোর দুইটা ডায়লগ "Timaeus" এবং "Critias" এ।


প্লেটোর গল্প গড়ে উঠে সোলন নামে এক গ্রীক কবি কে কেন্দ্র করে যিনি মিসর ভ্রমন করেছিলেন।মিসরে থাকার সময় পুরোহিতদের কাছ থেকে সোলন অ্যাটলান্টিসের গল্পটি শুনতে পান।পুরোহিতরা সোলন কে সম্মান করতেন এবং তাকে অত্যন্ত সমাদরের সাথে নিজেদের মধ্যে স্থান দিয়েছিলেন।তারা আটলান্টিয়ান্দের সম্মান করতেন কারন তারা তাদের নিজেদের জাতিগোষ্ঠীর মনে করতেন।পুরোহিতরা এটাও মনে করতেন যে মিশরিয় দেবী নেথ আর গ্রীকদের দেবী এথেনা একই।তাই তিনি গ্রীক এবং মিসর উভয়েরই রক্ষাকারী এবং পৃষ্ঠপোষিকা হিসেবে বিবেচিত হতেন।



                                        

সোলন এর কাছে যে গল্পটা পুরোহিতরা বলেছিলেন তা সোলন এর কাছে নতুন ছিল।এথেনিয়ান্সরা নাকি অনেক বছর আগে অ্যাটলান্টিস এর শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল এবং জয়ী হয়েছিল।


যেসব শাসকরা অ্যাটলান্টিস শাসন করতেন তারা শাসন করার জন্য একটি জোট সৃষ্টি করেছিলেন।তারা আক্রমন শুরু করলেন অন্য দেশকে।এশিয়ায় এবং ইউরোপ জয়ের জন্য শাসকরা ট্রুপ পাঠালেন।এথেনিয়ান্সরা এই আক্রমন এর বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করেন।কিন্তু যখন জোটটি কিছু বাধার সম্মুখীন হল তখন জোটের সদস্যরা তাদের ত্যাগ করল।কিন্তু এথেনিয়ান্সরা একলা যুদ্ধ করল এমনকি মিসর এবং অন্যান্য অনেক দেশ কে অ্যাটলান্টিয়ান শাসকদের থেকে মুক্ত ও করল।

জয়ের কিছু সময় পরে যদিও এথেনিয়ান্সরা নিরাপদে দেশে ফিরতে পেরেছিলেন।কিন্তু অ্যাটলান্টিস হঠাৎ ভুমিকম্পের সম্মুখীন হয়।ফলে পুরো দেশটা পানির নিচে চলে যায় এবং সঙ্গে নিয়ে যায় অনেক সাহসী মানুষকে।

প্লেটো এই গল্পের মাধমে তুলে ধরেন অ্যাটলান্টিস শাসকদের আগ্রাসী ভুমিকার কথা।এই ইতিহাস বহু বছর ধরে সোলন এর পরিবারের সদস্যরা সংরক্ষণ করেছেন যা সোলন রেখে গিয়েছিলেন হাতে লিখা নোটে।





                                            




সোলান এর মতে,সৃষ্টির শুরু থেকে এই কাহিনির শুরু।অমর দেবতাদের পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ ভাগ করে দেওয়া হয়।পোসাইডন পান অ্যাটলান্টিস এবং উনি উনার পত্নি ক্লাইটোকে নিয়ে সৃষ্টি করেন অ্যাটলান্টিয়ানদের।দশটি সন্তানের তারা বাবা মা হন।এদের মধ্যে ছিল এটলাস যে পরবর্তীতে রাজ্যটি শাসন করে। বাকি ভাইয়েরা রাজপুত্র হিসেবে গণ্য হন।এটলাস এর নিজেরও অনেক সন্তান ছিল।সবসময় বড় সন্তানকে রাজা করে দেওয়া হত।

Plato র মতে, অ্যাটলান্টিস মূল্যবান খনিজ পদার্থ এবং স্ফটিক ছিল । বিশেষত orichalcium যা ছিল রঙ লাল এবং আরও বেশি মূল্যবান । এটি ছিল স্বর্গের একটি বাগান । এই স্বর্গ এ ছিল পর্বত, উর্বর সমভূমি, নদী, হ্রদ এবং একটি সমৃদ্ধ জনসংখ্যা এবং মানুষ গুলো ছিল বহু প্রজাতির সমন্বয় । পশু ছিল সব রকমের এমনকি হাতি ও । কাঠ ছিল ছুতার দের জন্য অঢেল । ফুল, এবং ফলের প্রাচুর্য ছিল । উভয় খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হত । এবং এরা ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হত । মন্দির, প্রাসাদ, বন্দর নির্মাণ করা হত । তারা প্রাকৃতিক সাদা, কালো এবং লাল পাথর ব্যবহার করত যা নীচে দ্বীপের কেন্দ্রে থেকে আনা হত । তাদের কিছু বাড়ির নকশা কিছু ছিল সহজ, আবার অনেকে গুলো ছিল খুব বিশদ এবং জটিল । যা নির্মাণ হত পিতল, টিন এবং লাল orichalcium দিয়ে । তারা একটি মন্দির স্বর্ণ রৌপ্য বানিয়েছিল । এবং তা নির্মাণ করা হয়েছিল পসেইডন এর জন্য , সমুদ্র এর দেবতা । অনেক মূর্তি প্রধান মন্দির টি তে ছিল যার মধ্যে একটি মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ছিল । মূর্তিটি এর প্রধানত একটি রথ ছিল যার মধ্যে পসেইডন নিজেকে ছয় সপক্ষ ঘোড়ার উপরে ছিলেন । এর বাগানের মধ্যে ছিল অনেক ঝর্না । সারা পৃথিবী থেকে বনিকরা এখানে আসতেন । আসলে এটি কই ছিল ? প্লেটো বিশ্বাস করতেন এটি আটলান্টিক মহাসাগরে । তবে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন যে এটি গ্রীস এর আসে পাশে কোথাও ছিল ।

পোসাইডন একটি 'গভর্নিং বডি' সৃষ্টি করেন জাতে দশজন সদস্য ছিল।সদস্যদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে হত এবং সরাসরি রাজার কাছে জবাবদিহি করতে হত।

যতদিন আটলান্টিয়ানরা পোসাইডন এর নিয়ম মেনেছে ততদিন তারা উন্নতি ক্রেছে।কিন্তু একসময় তারা নিয়ম ভেঙ্গে মরণশীল তথা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করল।তারা মানুষের মত লোভী আচরণ শুরু করল।জিউস দেখলেন এই অবস্থা।তিনি সকল দেবতা কে অলিম্পাস পাহাড়ে এনে অ্যাটলান্টিস এর উপর রায় দিতে গেলেন।


এই জায়গাতেই প্লেটোর গল্প শেষ হয়।প্লেটো আসলে এটা পরিষ্কার করে বলেন নি যে তিনি অ্যাটলান্টিস এর বাস্তবতায় বিশ্বাস করতেন কিনা।


তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাদের সর্বচ্চো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আসল কাহিনি বের করার।কিন্তু বের হওয়ার আগ পর্যন্ত অ্যাটলান্টিস রহস্য রহস্যই থেকে যাবে।


দেজা ভু এবং জেমাইস ভু-রহস্য নাকি রোগ?

আমার সবচাইতে অদ্ভুত লাগে দেজা ভু । এটি হচ্ছে একটি অনভুতি । এই অনুভুতি আমাদের বলে যে কোন কাজ আমি আগে করেছি । কিন্তু এটি এই জীবনকালের মধ্যে নয় । তাহলে কখন করেছি ? কেন এই জিনিসটি হয় ?মনে হয় এটি ইতোমধ্যেই দেখা হয়েছে, আবারো দেখা হল।এ যেন ফেরত পাওয়া জিনিসের আবার ফিরে আসা,এটা হ’ল পুনরুজ্জীবন, সব কিছু আবার।

পৃথিবী জুড়ে প্রচলিত একটি শব্দ এই দেজা ভু।এই শব্দের সঙ্গে কার পরিচিতি না থাকলেও এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়।আসলে এই দেজা ভু টা কি?

Déjà vu একটি ফ্রান্স এর শব্দ যার অর্থ "যা দেখা হয়ে গিয়েছে ।'' কোন জায়গায় গিয়ে মনে হওয়া হয়ত বা এই জায়গায় আমি আগে এসেছি বা এই জায়গা আমার পরিচিত। কিন্তু আসলে ওই জায়গার সঙ্গে আপনার কোন পরিচয় নেই। আর ও সহজভাবে বলতে গেলে, যদিও ব্যাপারটা এতটা সহজ নয়,বলা যেতে পারে নতুন যেকোন জায়গা আপনার পরিচিত মনে হওয়া যা হয়ত আপনি কখন দেখেন নি।

আবার এরকম হতে পারে যে কেউ বন্ধুদের সাথে বসে গল্প ক্রছে।হঠাৎ কেউ একটা কথা বলল আর আপনার সঙ্গে মনে হল যে এই কথা আমি আগেও শুনেছি,আরও বহুবার শুনেছি।এটা এরকম একটা অনুভূতি যা যে কাউকে হঠাৎ সন্দেহর মধ্যে ফেলে দেয়,চিন্তা করতে থাকে মানুষটি যে আসলে কি হচ্ছে?

এই অনভুতি টা হওয়ার পিছনে কারন টা কি?






                                             









সবচাইতে সহজ যে উত্তর আমরা পাই টা হচ্ছে যে আমাদের পূর্ব জীবনে আমরা এই জায়গায় এসেছিলাম এবং এই ধরনের অনুভূতি হওয়ার পিছনে এটাই দায়ি।অনেক লোক বিশেষ করে অনেক গবেষক ওঁ এই ব্যাখ্যায় খুশি।কিন্তু ব্যাপারটা এখানেই শেষ নয়।


Arthur Funkhouser বলেন যে এই অনভুতি বোঝার জন্য আগে এই অনভুতি কে ভাগ করতে হবে যে আসলে এটা কি।শুনলে হয়ত বা অদ্ভুত লাগবে কিন্তু শতকরা ৭০ জন মানুষের রি অনুভূতিটা হয়।

কেউ কেউ বলেন যে পূর্ব জন্ম থাকাটা এখানে কোন উত্তর না।তাদের মতে,হয়ত বা কেউ কোন কিছু অবচেতন ভাবে শুনেছিল আর তার মন এটাকে সযত্নে রেখে দিয়েছে।আর পরবর্তীতে যেসময় সে ওই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অনুভূতি 'Déjà vu'


আবার কেউ বলেন যে পৃথিবী সৃষ্টির সময় অনেক 'Big Bang;' হয়েছিল এবং অনেক মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে।হয়ত এরকম কোন এক মহাবিশ্বে দেখা কোন কিছুর জন্য এই অনুভূতি হচ্ছে।

Hyper perception?এর কোন সম্পর্ক নেই দেজা ভূর সাথে। যদিও অনেকগুলো প্রচলিত ধারণার একটি।ধারনাটা খানিকটা এরকম-আপ্নি একটা জায়গায় আছেন একঘণ্টা কিন্তু পরে দেখলেন সময় চলে গেছে ৬ ঘণ্টা।এটাকেই Hyper perception বলা হয়।





প্রথমদিকে মনরোগ বিশেষজ্ঞরা চেয়েছিলেন এই অনুভূতি কে মানসিক রোগ বলতে। একটা নাম দেওয়া হয়েছিল 'Temporal Lobe Epilepsy'.এই ধারনা কিছু গবেষককে আগ্রহী করে তুলেছিল।তবে শেষমেশ এই ধারনা তেমন একটা ভিত্তি পায়নি।


আবার কারো কাছে দেজা ভূ সৃষ্টির পিছনে কারণ হচ্ছে মাদক দ্রব্য।তামীয়িয়ান এবং জেক্লাইএইন ২০০১ সালে একটা প্রতিবেদন করেন।
তারা বলেন যে একজন পুরুষ ফ্লূ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু ড্রাগ নেওয়ায় তার দেজা ভূ র অনুভূতির সৃষ্টি হয়।



জেমাইস ভূ আরেকটি রহস্য।এটাকে দেজা ভূ র বিপরীত বলা হয়। এই অনুভূতির কারনে কোন মানুষ অনেক পরিচিত জিনিস চিনতে পারে না।তার কাছে মনে হয় যেন সে এটা প্রথমবার দেখছে।কোন কিছুই সে চিনতে পারে না।
'জেমাইশ ভূ' শব্দের অর্থ যা 'কখন দেখা হয়নি।'এটিএকটি ফ্রেঞ্চ শব্দ।
যেকোন কিছুর জন্য এটি হতে পারে,যেকোন সময় হতে পারে।একটি অতি পরিচিত শব্দ ,একটি অতি পরিচিত মুখ দেখেও মনে হতে পারে যে জীবনেও এটি দেখা হয় নি।


দেজা ভু এবং জেমাইস ভু- এই দুইটিকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন রোগ আর রহশপ্রেমিরা বলেন 'অমীমাংসিত রহস্য।'


আসলে যে কি তা জানতে হলে অপেক্ষা ছাড়া আর কি কোন উপায় আছে?


বারমুডা ট্রায়াঙ্গল - ঘটনা এবং মিথস



কেউ বলেন এই জায়গায় ভৌতিক বাপার আছে।আবার কার কাছে এই জায়গা হচ্ছে এলিয়েনদের মানুষ
শিকার করার জায়গা।না , আমি কোন ভূতুরে গল্প বলছি না।আমি বলছি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর কথা,
যুগ যুগ ধরে যে রহস্য চলে আসছে।




বারমুডার রহস্যের পিছনে ঘটনা খুঁজছেন? 1000 এরও বেশি জাহাজ এবং প্লেন ত্রিভুজ এলাকায় গত পাঁচ
শতকের পর শতক ধরে অদৃশ্য এবং প্রতিবার এবং এই সব ঘটনার সময় দৃশ্যত কোন মানুষের ত্রুটি,
সরঞ্জাম ব্যর্থতা বা এমনকি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে থাকে না । স্ট্রেঞ্জলি, শুধু জাহাজ এবং বিমান উধাও
যখন সবকিছু ঠিক আছে বলে মনে হয় ।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে শয়তান খেলা এখানে হয় এবং তাই এলাকার লোকেরা ছাড়াও অনেকে একে
চিনেন ডেভিল এর ট্রাইএঙ্গল হিসাবে ।
ঘটনা কি বা সাধারণভাবে পরিচিত বা সত্য হতে পারে বলে বিশ্বাস থেকে বেশ দূরে সরে গিয়ে অনেক গল্প
এবং কাল্পনিক লেখক তাদের বই প্রচার আঁকা লেখা করেছেন নিছক কল্পনার মাধ্যমে ।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঘটনা ঝাপসা হয়ে এসেছে ।

কোথায় বারমুডা ট্রাইএঙ্গল অবস্থিত এবং কিভাবে বড় হল এলাকা? কোন মানচিত্র?

এবং আপনি ঠিক লাইন এবং ক্রুশ এলাকা কিভাবে জানতে পারেন?


                                                         



বারমুডা ট্রাইএঙ্গল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন পূর্ব উপকূলের এবং আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত । ত্রিভুজ
 তিন কোণ হল: মিয়ামি (ফ্লোরিডা); সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো); এবং বারমুডা (উত্তর আটলান্টিক দ্বীপ).
দূর্ঘটনার বেশিরভাগই ঘটেছে ফ্লোরিডা এবং পুয়ের্তো রিকো মধ্যে ত্রিভুজ দক্ষিণ সীমানা কাছাকাছি ।
 আপনি সর্বদা তর্ক করতে পারেন কারণ যে যেখানে ত্রিভুজ আয়তন আর ও বিস্তৃত ।

তাই পরবর্তী প্রশ্ন হল কেন নাম "বারমুডা ত্রিভুজ"? শব্দটি নেওয়ার সময়, প্রথম নাম ছিল "মিয়ামি ট্রাইএঙ্গল". কিন্তু ফ্লোরিডা একথাও বলছে যে তারা এমন নামের জন্য দর্শক হারাবে। হারানোর ভয়ে মানুষ সেখানে আসতে
ভয় করবে । সুতরাং পরের নাম নেওয়া হল "পুয়ের্তো রিকো ট্রাইএঙ্গল". পুয়ের্তো রিকো খুব আপত্তি উত্থাপিত করল । তারপর এটি ছিল 21 বর্গ মাইল ক্ষুদ্র দ্বীপ যা বারমুডা ত্রিভুজ তৃতীয় কোণার ফর্ম এর পালা । এবং কেউ
বিরক্ত হল বলে মনে হয় না । এছাড়াও ত্রিভুজ ধারণা লাগানো যা বেশ ভাল এবং সেইজন্য চূড়ান্ত নাম
"বারমুডা ত্রিভুজ" সৃষ্টি হল যা "শয়তানদের আইল" হিসাবে পরিচিত ।

হারানো বিমান & জাহাজ


অনেক বছর ধরে রহস্যময় ভাবে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ,মানুশ,প্লেন মানুষের মনে অনেক অদ্ভুত ধারণার
জন্ম দিয়েছে।প্রথম অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৫ সালে অ্যামেরিকান নেভিতে।৫ জন Avenger হারিয়ে যান এবং দশ পরে পাইলট এর উপর।কিন্তু পাইলট এর পরিবার প্রতিবাদ করায় একসময় নেভি বলতে বাধ্য হয়
''অনিবার্য কারনবশত ''।

এখন কিছু প্লেন এবং জাহাজ হারানোর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক গল্প যখন ত্রিভুজ এলাকা পার হছিল ।

ফ্লাইট 19: ফ্লাইট-19 নামক প্লেন মার্কিন নৌবাহিনী বেস ফ্লোরিডা থেকে উড়ে যায় একটি রুটিন প্রশিক্ষণ সেশনের জন্য, কিন্তু কখনও ফিরে আসে নি ।

PBM মার্টিন নাবিক: যখন-19 ফ্লাইট জন্য দ্রুত আশা শেষ হয়ে যাচ্ছিল তখন দুই নাবিককে মার্কিন
নৌবাহিনীর পক্ষ হতে তাদের খুঁজে বার করার জন্য প্রেরন করা হয়েছিল । এক জন ফিরে আসেন,
কিন্তু অদ্ভুত যে অন্য জন ফেরেন নি ।

টিউডার টাইগার : টাইগার, একটি টিউডার মার্ক-IV এই বিমান বারমুডা ট্রাইএঙ্গল পার হয়েআসে কিন্তু
বারমুডা বিমান বন্দরে অবতরণ করার আগ মুহূর্তে হারিয়া যায় ।

ডিসি-3 : ফ্লাইট ডিসি-3 NC16002 হারায় তখন যখন এটি ফ্লোরিডা থেকে ছিল মাত্র 50 মাইল দক্ষিণে এবং মায়ামিতে অবতরন এর আগ মুহূর্তে ।

এছাড়াও আছে Flight 441 ,
Mary Celeste - The Ghost Ship , Marine Sulphur Queen: ইত্যাদি ।

জাহাজ এবং বিমান কিভাবে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যেত? এই বিষয়ে আরো অনেক গবেষণা এবং
রহস্য আবরণ উন্মোচন সম্পন্ন এক্সপ্লোরেসন পর্যন্ত আছে।কোন একক তত্ত্ব সমস্ত ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারে নি এখন পর্যন্ত । জাহাজ এবং বিমান বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এবং পরিস্থিতির শিকার হয়েছে । ঘটনা ঘটেছে খুব
দ্রুত
এবং অপ্রত্যাশিতভাবে । যদিও অনেক তত্ত্ব আছে, যদি রহস্য সমাধান হয় নি এখনো ।

মিথেন গ্যাস সমুদ্রতলের অধীন আটকা পড়ে, ফলে জলের ঘনত্ব কমে যাবে এবং জাহাজ বিস্ফরণে ডুবতে
 পারে । এমনকি এটির উপর উড়ন্ত প্লেনে, আগুন লাগতে পারে এবং গ্যাস blowout র সময় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হতে
পারে ।

শৈবাল সাগর একটি অদ্ভুত এলাকায যেখানে কোন পাড় নাই এবং শুধুমাত্র সমস্ত দিকের জল স্রোত দ্বারা
বেষ্টিত । এটি পার করার সময় জাহাজ অসহায় ভাবে আটকে গিয়েছে , নিষ্কম্প হয়েছে.


ইলেক্ট্রনিক কুয়াশা, একটি অদ্ভুত পুরু মেঘ কোথাও না থেকে প্রদর্শিত হবে এবং একটি জাহাজ বা একটি
সমতল engulfs কে ঢেকে ফেলে. যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায় , এবং পরিশেষে জাহাজ বা বিমান উধাও হয়ে যায় ।

এরকম আর অনেক থিওরি আছে ।

থিওরি যেমন আছে গুজব কি তেমন নেই?আছে।১৯৬০ শালের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন মানুষ দাবি করতে
থাকেন যে ওই জায়গায় এলিয়েনদের দেখা গেছে।এমনকি কেউ কেউ নিজ চোখে দেখার দাবি করে থাকেন।
আবার
কার কার মতে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া মানুষগুলো এখন বেঁচে আছেন অন্য কোন মাত্রিক জগতে।তারা আমাদের
দেখতে
পারেন কিন্তু আমরা পারি না।
কিন্তু আসলে এই ধারনা গুলো কি গুজব?সত্যি কি কিছুই নেই?
আসলে যদি এগুলো গুজব হয়ে থাকে আসলে তারা কি গেলেন?
নাম নিশানা কিছু না রেখে এভাবে গায়েব হয়ে যাওয়া কি সম্ভব?

ঐশী কোন শক্তি আছে কি আছে?